ঝরে পড়ার গল্প ০২

ঝরে পড়ার গল্প ০২


ছোটবেলা থেকেই ফটোগ্রাফির প্রতি একটা আলাদা ঝোঁক ছিল মার্কের। ‘ও’লেভেল এ ভালো রেজাল্ট করায় বাবার কাছে ক্যামেরা চায় সে। মার্ক ছিল তার বাবামায়ের একমাত্র সন্তান। তাই বাবাও আর না করতে পারলেন না। তখন থেকেই তার ফটোগ্রাফি জীবন শুরু।

মার্কের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল জন। জন এর সাথে অনেক ফিমেল মডেলরা কাজ করতো। সে তাদের কারো কারো সাথে এতোই ঘনিষ্ঠ ছিল যে তারা তাকে অবলীলায় নগ্ন ফটোসেশন করতে দিতো। জন সেই ছবিগুলো মার্ককে দেখাতো। মার্ক প্রায়ই জনের কাছ থেকে সেই মডেলদের নগ্ন ছবি ধার নিতো। বাসায় গিয়ে ছবিগুলো নিয়ে হারিয়ে যেতো সেক্সচুয়াল ফ্যান্টাসিতে। কারণ তখন হাইস্পিড ইন্টারনেট ছিলনা। তাই এই ধার করা ছবিগুলোই ছিল মার্কের জন্য পর্ন। প্রায় প্রতি রাতেই মাস্টারবেট করতো সে।

একসময় মার্ক নিজেই মডেলদের নগ্ন ছবি তোলায় যোগ দেয়। আরও এক্সট্রিম হতে থাকে তার আসক্তি। এভাবেই কেটে যেতে থাকে কয়েকটি বছর। ২৫ বছর বয়সে সে এক তরুণীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এক বছর পর তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে খুব সুন্দর যাচ্ছিল তার জীবন। কিন্তু সুখের সংসারের মাঝে কালসাপটা রয়েই যায়। সেই মডেলদের নগ্ন ছবির প্রতি আকর্ষণ।

প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে ইন্টারনেট আসলো। নেটে ব্রাউজ করতে করতে একদিন সে আবিষ্কার করলো একটি পর্ন সাইট। যোগ হল তার অ্যাডিকশনে নতুন একটি মাত্রা। স্ত্রী, মেয়ের চোখের আড়াল হয়ে প্রায়ই সে পর্নের সাগরে ডুব দিতো। সময়ের সাথে সাথে তার মেয়ে বড় হয়।

একদিন তার আদরের মেয়েটি তাকে পর্ন দেখা অবস্থায় আবিষ্কার করল। বলে দিলো মাকে। মা, মেয়ে দুজনেই এতোটা কষ্ট পেয়েছিল, যে তারা সিদ্ধান্ত নিলো মার্কের সাথে আর এক দিনও থাকবে না। পরবর্তীতে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।

একসময় মার্ক পর্ন আসক্তি থেকে পরিত্রাণ পায়। কিন্ত সেই সুখের সংসার সে আর ফিরে পায় না।