
নিরাশ হবেন না
“হে আমার বান্দারা, তোমরা যারা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছো, তারা আল্লাহ্ তায়ালার রহমত হেকে (কখনো) নিরাশ হয়ো না; অবশ্যই আল্লাহ্ তায়ালা (মানুষের) সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন, তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।” [সুরা আঝ ঝুমারঃ ৫৩]
চিন্তা করুন। যদি কুরআনে এই আয়াতটা না থাকতো তাহলে কতো মানুষ নিজেদের কৃতকর্মের জন্য হতাশ হতো।
যখন আপনি পর্ন দেখার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, কিন্তু পরবর্তীতে আবার দেখেন, এরপর আবার ক্ষমা চান এবং আবার দেখেন, এভাবে চলতে থাকে। এই চক্রের মধ্যে বছরের পর অবস্থান করছেন, নিজের এবং আল্লাহর সাথে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে আপনি এসব ছেড়ে দিবেন, তবুও ছাড়বো ছাড়বো করে আর ছাড়তে পারছেন না। যার ফলে, আপনি হতাশ হয়ে যান এবং পর্নগ্রাফি থেকে মুক্তির লড়াইয়ে হার মানেন।
আপনার ভেতরে যে অপরাধবোধ জন্ম নেয় তা আপনাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া থেকে বিরত রাখে। ফলে আপনি ভাবতে শুরু করেন যে আল্লাহ্ আপনাকে অনেক শাস্তি দিবেন। কিন্তু আপনি যদি বার বার ক্ষমা চাইতে থাকেন এবং এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যান তাহলে আল্লাহ্ আপনাকে শাস্তি দিবেন না।
“আল্লাহ্ কি (খামাখা) তোমাদের শাস্তি দেবেন- যদি তোমরা (তাঁর প্রতি) কৃতজ্ঞতা আদায় করো এবং তাঁর ওপর ঈমান আনো; (বস্তুত) আল্লাহ্ তায়ালা হচ্ছেন (সর্বোচ্চ) পুরস্কারদাতা, সম্যক ওয়াকেফহাল”
[সুরা নিসাঃ ১৪৭]
তাই এই শুকরিয়া আদায় করুন, যে তিনি এখনো পর্ন দেখা অবস্থায় আপনার জান তুলে নেননি। বরং আপনাকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন, যাতে আপনি তাঁর সাথে সম্পর্কটা ঠিক করতে পারেন। আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখুন এবং কখনো তাঁর দয়া ও রহমত হতে নিরাশ হবেন না। যদি নিরাশ হন তাহলে আরো বিপথে চলে যাবেন।
“পথভ্রষ্ট ব্যক্তি ছাড়া আল্লাহর রহমত থেকে কে নিরাশ হতে পারে?”
[সুরা আল হিজরঃ ৫৬]
দৃঢ়সংকল্প করুনঃ
———————-
আমি আমার পাপের জন্য অনুতপ্ত হব। যতবার পাপ করব আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো, যেন তিনি আমার গুনাহ মাফ করে দেন এবং পর্ন অ্যাডিকশন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাঁর সাহায্য কামনা করব।
ইনশা আল্লাহ্ সহজ হয়ে যাবে।