
পাপে অনুশোচনা
১) কিছুদিন আগে এক পর্নস্টারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এক ছেলে পোষ্ট দেয়। পোষ্টের সেই পর্নস্টারকে ফটোশপের কল্যাণে হিজাব পরানো হয়। আর টিপিকাল ক্যাপশন তো আছেই (যা এখানে লিখতে আমার রুচিতে বাধছে)।
এ ছেলে শুধু ছবিটা শেয়ার করেই ক্ষান্ত থাকেনি; বরং লিখেছে “তুমি মরে গিয়েছ তো কী হয়েছে? তোমার শত শত জিবি কালেকশন আছে আমার কাছে। আরও অনেক কিছু…” যারা এমন পোষ্ট প্রচার করে বেড়ায় তারা সুযোগ পেলে ধর্ষণ করেও ফেসবুকে গর্ববোধ করবে। এরা পর্নের পক্ষে ভুয়া সব রিসার্চ দেখায়। আজ পর্নের ইফেক্ট নিয়ে কথা বলা ট্যাবু হবার পেছনে এদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
২) ঢাকার কোনো এক জায়গায় এক বিশেষ পর্ন ওয়েবসাইটের নামে রেস্ট্রুরেন্ট খোলা হয়েছে। লোগোটা পর্যন্ত বদলায়নি, এতোটাই নিমকহারাম এরা। একই ওয়েবসাইটের লোগোতে বানানো টি-শার্ট পর্যন্ত পড়ে এ প্রজন্মের কিছু ছেলেপেলেরা। এরা শুধু পাপ করে না। পাপের এজেন্ডা হিসেবে কাজ করে। অনুশোচনা নামক কোনো শব্দের সাথে এদের সম্পর্ক নেই।
এক ভাই সেই রেস্ট্রুরেন্টে গিয়েছিলেন শুধু সেখানকার ক্যাশিয়ার বা মালিককে কিছু কথা বলার জন্য। কিন্তু কী আর বলবে। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে সে তাজ্জব হয়ে গেছে। মানুষ এত লজ্জাহীন হয় কীভাবে!
৩) গত দুবছর আগে এক বাংলাদেশী ইউটিউবারকে দেখেছিলাম হাসি ঠাট্টার আড়ালে পর্নকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে। উদীয়মান এক মডেলকে দেখেছিলাম নিজের পর্ন দেখার কথা স্বীকার করতে। এখন তাদের অবস্থা কেমন আল্লাহই ভালো জানেন। আর এরাই কিনা আমাদের ছোটো ভাইবোনদের রোল মডেল।
এ ছাড়াও ফেসবুকে বিভিন্ন সময় আমরা নামকরা কিছু পর্নস্টারদের নিয়ে ট্রল বানাতে দেখি। এখানে কি নিশ্চুপে এদের প্রমোট করা হচ্ছে না? যারা পর্ন আসক্তি থেকে মুক্ত হতে চায়, পাপ নিয়ে অনুশোচনা বোধ করে তাদের জন্য কি এ ছবিগুলো ট্রিগার হিসেবে কাজ করছে না? আপনারা একটা ব্যাপার চিন্তা করে দেখুন, শয়তানের অনুসারীরা কিন্তু তাদের কাজকে ট্যাবু বানিয়ে রাখেনি। তারা তাদের দাওয়াত চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরাই মানুষকে সৎ কাজের উপদেশ দিতে লজ্জা পাই। পরিবার ধ্বংসকারী এক আসক্তির ইফেক্ট নিয়ে কথা বলাকে ট্যাবু বানিয়ে রেখেছি। আফসোস! সত্যিই আফসোস!