
প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ ০৪
পর্নোগ্রাফি আসক্তি নিঃসন্দেহে একটি সমস্যা। আর এই সমস্যা জন্ম দেয় আরও নানান সমস্যার। প্রতিটা সমস্যা একসময় একত্রিত হয়ে এক বিরাট আকার ধারণ করতে পারে।
আপনি অবশ্যই চান না আপনার জীবনে এমনটা হোক। তাই পর্ন আসক্তি আপনার জীবনের লাগাম তার হাতে তুলে নেবার আগেই আপনাকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। চিনতে হবে এই সমস্যাকে এবং জানতে হবে এর ফলাফল কী?
পর্ন দ্বারা ঘটিত সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করার পর সেগুলোর নাম দিতে হবে এবং লিখে রাখতে হবে। ফলে আপনার অন্তরে এ ধারণা বদ্ধমূল হবে যে, সমস্যাগুলো আমাকে সমাধান করতেই হবে। কাজেই পর্ন থেকে মুক্তির এ যাত্রায় আপনি বারবার সমস্যাগুলো নিয়ে ভাববেন,- কী হবে যদি আমি আবার আগের সেই অভ্যাসে আবার ফিরে যাই? এই পদক্ষেপটি আপনার জন্য একটি প্রেরণার উৎস হিসেবেও কাজ করবে, কারণ একটা আসক্তির পরিণাম নিয়ে ভাবনা আপনার অন্তরে ভয় সঞ্চার করবে এবং চোখের সামনে তুলে ধরবে বাস্তবতা।
কেউ আপনার লেখা এ গোপন নোটগুলো খুঁজে পেতে পারে, এ চিন্তা মনে আনা যাবে না। আপনাকে একটা কথা মনে করিয়ে দেই, আপনি কিন্তু খুব ভালভাবেই জানেন যে কীভাবে একটা ব্যাপার গোপন রাখতে হয়। তা না হলে এতদিন ধরে পর্নোগ্রাফি আসক্তিতে জর্জরিত হওয়ার মত একটি বিষয়কে আপনি গোপন রাখতে পারতেন না। তাই ভয়ের কারণে কখনো সঠিক কাজটা করা থেকে বিরত থাকবেন না। এই ধাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা বাদ দেয়া যাবে না। আমাদের লেখা আর্টিকেল পড়ে আপনি যে জ্ঞান অর্জন করছেন তা ব্যক্তিগত জীবনে কাজে না লাগালে এ থেকে কোন ফায়দা আপনি পাবেন না।
দিনের পর দিনের পর্নে বুদ হয়ে থাকার ফলে আপনার জীবনে অবশ্যই কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ প্রভাবগুলো লিখে রাখা দরকার। হতে পারে আপনার যৌন চিন্তাধারা পরিবর্তন হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য ,সম্পদ, সম্পর্ক, কাজ, সময় সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব নিয়ে আপনি যখন ভাববেন আপনার পর্ন ছাড়ার ইচ্ছা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য আপনি দ্রুত কোন পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবেন।
এটাও মাথায় রাখবেন যে, এই আসক্তিতে ডুবে থাকতে থাকতে কোন বিব্রতকর অবস্থায় আপনার মৃত্যুর হতে পারে। এক বালক পর্ন আসক্ত ছিল। সে যেদিন মারা যায় তাকে একটি হোটেলের কামরায় নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়, তার গার্লফ্রেন্ড হোটেলের রিসেপশনে একটি নোট রেখে যায়, সেখানে লেখা ছিল,-“আমার বয়ফ্রেন্ড পর্ন দেখা অবস্থায় জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।”
আপনি অবশ্যই চান না আপনার বৌ, বাচ্চা, পরিবারের অন্যান্য সদস্য কিংবা বন্ধুরা আপনাকে এমন কোন বিব্রতকর অবস্থায় পাক। জীবনে এমনভাবে চলার চেষ্টা করুন যাতে আপনি মারা গেলেও মানুষ আপনার সম্পর্কে ভাল কথাগুলোই বলে।